যশোরের চৌগাছা উপজেলার জগদেশপুর ইউনিয়নে একেবারে মনোরম পরিবেশে স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের প্রচেষ্ঠায় ও নারী শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে ২০০০ইং সালে জমি ও শ্রম দিয়ে ৬৬শতক জমির উপর এই বালিকা বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়।এই বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ১৬০ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। অফিস সহ ৫টি টিন সেট রুম রয়েছে। আম্পানের আঘাতে টিন ছিড়েছুটে নষ্ঠ হয়েগেছে।সেগুলো জোড়াতালি দিয়ে শিক্ষকরা মেরামত করলেও সূর্য আলো ও বৃষ্ঠির পানি থেকে রেহায় পাচ্ছেনা শিক্ষার্থীরা। যা ক্লাশের একেবারে অনপোযগী । সরকারী বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে ১১ জন শিক্ষক কর্মচারী বিনা বেতনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে পাঠদানের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারী ভাবে সারা দেশে এম,পি,ওর ঘোষনা থাকলেও নীতিমালার আলোকে ২০১৭ সালে ৪০ জনের পরিবর্তে ২৮ জন শিক্ষর্থী উত্তীর্ণ হওয়ায় এম,পি,ও তালিকা থেকে বাদপড়ে যায় এ বিদ্যালয়টি। তাই এম,পি,ওর মত সোনার হরিণটি মেলেনি তাদের ভাগ্যে।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম সহ একাধিক শিক্ষক বলেন নারী শিক্ষার প্রতি দৃষ্ঠিরেখে বালিকা বিদ্যালয় গুলোতে প্রজ্ঞাপন জারি করে ৪০ এর পরিবর্তে ২০জন শিক্ষার্থী উত্তর্ণ হলেএম,পি,ও দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। এছাড়া আরো বলেন বিল্ডিং এর জন্য বেশ কয়েক বার আবেদন করেও কোন কাজ হয়নি।বিদ্যালয়ে বিগত পাবলিক পরিক্ষার ফলাফল ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা সন্তোষ জনক। প্রতিষ্ঠানে কোন ফ্যাসালেটিস ব্লিডিং নাই যার কারনে শিক্ষার্থীরা বর্ষা মৌসুমে বেপাকে পড়তে হয়। ২০১৬ সালে সেকায়েপ প্রকল্পের ২টি টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া সরকারী ভাবে তেমন কোন অনুদান চোখে পড়ে না। বিদ্যালয়ের জমিদাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ও বিদ্যালয়ের সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন। বিদ্যালয়ের ফ্যাসালেটিস ব্লিডিং,ফিল্ডে মাটিভরাট,চেয়ার,টিন, ব্লাকবোর্ড,টেবিল,বেস্ন ব্যপক সংকট দেখা গেছে। এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন পর্যয় ক্রমে এ ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিল্ডিং পাবে আশা করা যায়।