যুগ যুগ ধরে পাট কে বলা হয় সোনালী আঁশ। পাশাপাশি দাম ভাল থাকলে কথাটি চিরান্ত সত্য। আর যদি বাজার দাম কমে যায় তা হলে সেই সোনালী আঁশ হয় কৃষকের গলায় ফাঁশ। যশোরের চৌগাছা উপজেলায় চলতি মৌসুমে ব্যপক ভাবে পাটের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর বাম্পার ফলন দেখাগেছে । আর খোলা বাজারে পাটের দাম ২৫ শো ২৬ শো টাকা দরে বাজারে পাট বিক্রি হওয়ায় লাভবান তারা।এছাড়া পাট খড়ি ২৫/৩০ টাকা দরে গল্লা বিক্রি হচ্ছে। সবমিলেই এই চাষ থেকে কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে বলে একাধিক কৃষক জানান। সূত্রেজানায় এই চাষ করতে গিয়ে এলাকার কৃষক হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে খরচ যোগাতে হিমশিম খাওয়ায় সরকারী ও আধা সরকারী,এন,জি,ও চালিত ব্যাংক থেকে কৃষি লোন তুলে ফসল করে। এ ফসল উঠলে রয়েছে কৃষকের মনে অনেক স্বপ্ন বর্তমান বাজার দাম ভাল থাকায় স্বপ্ন পূরণ হতে চলছে। চলতি বছরে মাঠের পর মাঠ মহামায়া সহ বিভিন্ন জাতের পাট চাষ হয়েছিল। জানাগেছে,উপজেলার সকল গ্রামের মাঠে পাট চাষ হয়।এখানকার পাট স্থানীয় চাহিদা মেটায়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হয়ে থাকে।পাট চাষী আন্দুলিয়া গ্রামের ভদুমিয়া ১ বিঘা, সাহেব আলী ১বিঘা, আব্দুল খালেক , বাজে খড়ি া গ্রামের গ্রামের আব্দুল্লা আল মামুন ২ বিঘা, আজগর আলী ১ বিঘা,মুরাদ আলী ২ বিঘা, চুটারহুদা গ্রামের মাসুদুর রহমানের ১ বিঘা,বাদেখানপুরের ওয়াজেদ আলী ১ বিঘা, জামাল উদ্দীন ২ বিঘা,মহাতাব উদ্দীন ২ বিঘা, খড়ি া নওদাপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ১ বিঘা। একাধিক কৃষক বলেন প্রতি বিঘা জমিতে ১৬ থেকে ১৭ মন পাট উৎপাদন হচ্ছে। পুড়াপাড়া বাজারের বিশিষ্ঠ পাট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ,বাবুল আক্তার,আলমগীর হোসেন তারা বলেন চলতি বছরে মোকামে পাটের দাম ভাল থাকায় ২৫ শো টাকা দরে আমরা পাট ক্রয় করছি।উপজেলা কৃষি সম্প্রাসরণ অফিস সূত্রে জানাই আবওহায়া অনুকূলে থাকায় চলতি বছরে পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে।পাশাপাশি বাজারে পাটের দাম ভাল থাকায় কৃষকের মুখে হাসি । চলতি মৌসুমে ২ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছিল।