রাজশাহীর তানোর পৌরসভায় নির্বাচনের হাওয়া বইছে। ইতমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীগণ নিজেদের অনুগত নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।এদিকে দীর্ঘদিন উন্নয়ন বঞ্চিত থেকে
নাগরিকগণের মধ্যে বোধদয় হয়েছে সরকার সমর্থক জনপ্রতিনিধি ব্যতিত এলাকার উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই এবার প্রতিক নয় সরকার দলীয় প্রার্থীকে তারা বিজয়ী করে উন্নয়নের খরা কাটাতে চাই। অন্যদিকে বোধদয়ের ফলে ভোটের মাঠে ভিন্নমাত্রা ও পরিবর্তনের পুর্বাভাস লক্ষ্য করা গেছে। এসব বিবেচনায় আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর বিজয়
প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করছে পৌরবাসী। এদিকে পৌর নির্বাচনে এবার আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী, বিশিস্ট সমাজ সেবক, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন তরুণ নেতৃত্ব আবুল বাসার সুজন। তিনি বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন।
জানা গেছে, শুধুমাত্র সরকার বিরোধীরা মেয়রের দায়িত্বে থাকায় পৌরসভার নাগরিকগণ দীর্ঘদিন ধরে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। রাস্তা- ঘাট, গ্রামীণ অবকাঠামো ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচি ইত্যাদি উন্নয়ন ও অর্জনের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়েও পিছিয়ে থেকে ডিজিটাল নর্দমা বলে পরিচিতি লাভ করেছে তানোর পৌরসভা। তবে কেনো এর দায় কি শুধু মেয়রের না নাগরিকগণের কিছু রয়েছে। মোদ্দা কথা বলতে গেলে এই দায় নাগরিকদের। কারণ তারা না বুঝে বা জেনে বুঝে অথবা ফালতু আবেগের বশবর্তী হয়ে কিংবা কারো মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পড়ে বার বার সরকারবিরোধীদের ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করে উন্নয়ন বঞ্চিত রয়েছেন। এদিকে পৌরবাসির মধ্যে বোধদয় সৃস্টির পর পাল্টে গেছে ভোটের হিসেব-নিকেশ। সচেতন মহলের ভাষ্য, সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধা লোপাট করে ফুঁলেফেঁপে উঠে এসব মেয়র নিজেরা বিলাস জীবনযাপন করে জনগণকে বোঝায় তারা বিরোধীদলের মেয়র তাই সরকার ও স্থানীয় সাংসদরা তাদের কিছুই দেন না, ফলে তাদের আন্তরিক ইচ্ছে থাকলেও তারা জনগণের কোনো কাজ করতে পারেন না যেটা ডাহা মিথ্যা কথা পৌরসভার বিষয়ে সাংসদদের হস্তক্ষেপ করার তেমন কোনে সুযোগ নাই। তাদের উন্নয়ন বরাদ্দের টাকা তারা যথারীতি উত্তোলন করেন তবে নানা অজুহাতে কাজ করেই সেই টাকা মেয়রের পকেটে চলে যায়। আবার তাদের অভিযোগ যদি সত্য হয় তাহলে তারা তো জানেন তারা বিরোধীদলের লোক বিজয়ী হলেও কোনো কাজ করতে পারবেন না, তার পরেও তারা ভোট করেন কেন-? কেন মেয়রের চেয়ার দখলে রেখে পৌরসভাকে উন্নয়ন বঞ্চিত করেন। অথচ পৌরসভার রাজস্ব ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার সাহায্যেের টাকায় পৌরসভায় উন্নয়নের বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে মনে করেন উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা।