রাজশাহীর তানোরে আদিবাসি কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে রাজশাহী ধর্ম প্রদেশের ভিতর থেকে গত মঙ্গলবার রাতে ফাদারকে আটক করে র্যাব-৫। আটকৃত গীর্জার ফাদার প্রদিপকে বুধবার জেলহাজতে প্রেরণ করেছে আদালত। তার একদিন আগে মুণ্ডুমালা গীর্জা থেকে সটকে পড়েন ফাদার। তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। আর তাকে মুণ্ডুমালা থেকে পালাতে সহযোগিতা করেন আদিবাসির একজন নেতা। আর তাকে সহযোগিতায় করায় এবার সেই সহযোগী আদিবাসি নেতা ও মুণ্ডুমালা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামেল মার্ডিকে আইনের আওতায় আনার দাবি উঠেছে সব মহল থেকে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে আদিবাসি ছাত্র পরিষদের ব্যানারে এক মানববন্ধন থেকে ধর্ষক ফাদারকে সহযোগিরা যেন আইনের আওতায় আনে সে বিষয়ে দাবি জানানো হয়েছে। আদিবাসি কিশোরীকে আটক রেখে ধর্ষণের তিন দিন পর জানাজানি হলে নিজে বাঁচার জন্য প্রথমেই তানোর উপজেলা পারগানা পরিষদের সভাপতি আদিবাসি মি. কামেল মার্ডীকে ডেকে নেন গীর্জার ফাদার প্রদিপ গ্যাগরী। বিষয়টি ধাঁপাচাপা দিতে কামেল মার্ডীকে ম্যানেজ করে অতি গোপনে শালিস বৈঠক করার প্রস্তাব দেন ফাদার। তার প্রস্তাবে সাঁই দিয়ে শালিসে বসার আয়োজন করেন কামেল মার্ডী। দ্রতগতিতে লোক দেখানো শালিস করে দ্রুত ফাদারকে গীর্জা থেকে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন কামেল মার্ডী। আর এই জন্য ফাদারের কাছে থেকে কামেল মার্ডি বড় অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। অথচ ধর্ষণ, ধর্ষণেে সহায়তা বা ধাঁমাচাঁপা দেবার চেস্টা করা একই অপরাধ। গত সোমবার দুপুরে রাজশাহী ধর্ম প্রদেশ থেকে মুণ্ডুমালা গীর্জায় আসেন তিন জন প্রতিনিধি, কামেল মার্ডী মিসনপাড়ার দুজন গ্রাম্যপ্রধান ডেকে নেন। কিশোরীর পরিবারকে উপস্থিত করেন ফাদারের বাস ভবনে। সালিশে কামেল মার্ডী ফাদারে সাজানো রায় পড়ে কিশোরীর পরিবার শোনান এবং বোঝান। শালিসি রায়ে বলা হয়, কিশোরী লেখাপড়া ও ভরণ পোষন গীর্জা থেকে বহন করা হবে। সে এখন থেকে গীর্জার সিসটারদের ভবনে সে থাকবে। এ রায় না মানলে কিশোরীর পরিবারকে ধর্মশালায় আসতে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে সমাজ থেকে বিতাড়িত করা হবে বলে ঘোষণা দেন কামেল মার্ডী।
এমন রায় শুনে ভয়ে কিশোরীকে গীর্জায় রেখেই চলে আসে তার পরিবার। এদিকে সোমবার সন্ধায় কামেল মার্ডী রাজশাহী ধর্ম প্রদেশের তিনজন প্রতিনিধি সঙ্গে ফাদার প্রদিপকে পাঠিয়ে দেন রাজশাহী।পরিবেশ শান্ত না হওয়া পর্যন্ত রাজশাহী থেকে তাকে না আসার কথা বলা হয়। তার কথা মত ফাদার সেই দিনেই সটকে পড়েন। সালিশে উপস্থিত ছিলেন- এমন একজন ও কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা সে দিনে শালিসের ঘটনার বর্ণনা দেন সাংবাদিকদের কাছে।