নাটোরের সিংড়ায় আত্রাই নদীর পানির প্রবল স্রোতের কারণে ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে হাজারো বাড়িঘর। তীব্র স্রোতের কারনে বিলিন হয়ে গেছে আধা-পাকা ১২টি বাড়ি। হুমকির মুখে রয়েছে আরও শতাধিক বসতঘর। তবে তীব্র স্রোতের কারনে জিও ব্যাগ ফেলতে বেগ পেত হচ্ছে শ্রমিকদের।
শনিবার সকালে আত্রাই নদীর পানি কমে বিপদসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তীব্র ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। শোলাকুড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জহুরুল, জহির, কুদ্দুস, রহিম, সফের, বাবলু, মতলেব, শাজাহান, শামিম, করিমসহ ১২ জনের বাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। এসব মানুষ নির্বাক হয়ে নদীর পাড়ে বসে আছেন। যারা সম্ভব আসবাবপত্র, তৈজসপত্র, মালামাল ভ্যানযোগে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনায় ভাঙ্গন রোধে সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌসের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবকরা ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ তৈরীর কাজ করছেন। অন্যদিকে শনিবার সকাল ১১ টায় সিংড়ায় আত্রাই নদীর পাটকোল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্রোতি জাল উচ্ছেদ করেন। অবৈধ স্রোতি জাল অভিযানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জেলা প্রশাসক মো: শাহরিয়াজ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেনসিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, দুপুর পর্যন্ত দুই শতাধিক পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ভাঙ্গন কবলিত মানুষের মধ্যে সকাল ও দুপুরে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।