ওজন কমানো আর পেটের মেদ দূর করা এক নয়। অনেক সময় ওজন কমলেও পেটে ঠিকই মেদ জমে থাকে। মেদ দূর করার জন্য প্রয়োজন পড়ে বাড়তি যত্নের। ডায়েটে নিয়ন্ত্রণ, কঠোর পরিশ্রমের পরেও এটি কমতে সময় নিতে পারে।
ডায়েটে প্রোবায়োটিক যুক্ত করুন
অন্ত্রের স্বাস্থ্য আমাদের ওজন বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কারণেই পেটের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী প্রোবায়োটিক পেটের মেদ কমাতে সহায়তা করতে পারে।
ফাইবার
নিয়ন্ত্রিত ডায়েট এবং ভারী শরীরচর্চার মাধ্যমে অতিরিক্ত চাপ নিতে না চাইলে, অতিরিক্ত পেটের মেদ কমানোর জন্য অবশ্যই ফাইবার গ্রহণ বাড়িয়ে নিতে পারেন।
অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা
অ্যালকোহল পান করলে পেটে চর্বি জমে এবং কোমরের লাইনের চারপাশে ফ্যাট স্টোরেজ বাড়তে পারে। বেশিরভাগ অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়তে অতিরিক্ত চিনি থাকে, যা দ্রুত ওজন বাড়িয়ে তোলে। অতিরিক্ত ক্যালোরি পেটের অঞ্চলে জমা হয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বেরি
পেটের চর্বি কমানোর এক দুর্দান্ত উপায় হলো সেই ফ্যাটযুক্ত নাস্তার বদলে বেরি জাতীয় ফল খাওয়া। এগুলো কেবল সুস্বাদুই নয়, পাশাপাশি ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যেও সমৃদ্ধ।
ঘুমের সাথে আপস করবেন না
ঘুমের অভাবে শরীরে অতিরিক্ত ওজন বাড়তে পারে। খুব অল্প ঘুম করটিসোলকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে তুলতে পারে। সুতরাং, এটি নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে পারছেন।
চিনিকে না বলুন
যদি সত্যিই আপনার পেটের চর্বি থেকে মুক্তি পেতে চান তবেচিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা শুরু করুন। চিনি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা শরীরকে ফ্যাট সংরক্ষণে সাহায্য করে। ফলস্বরূপ পেটে জমতে থাকে মেদ।