বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হলেন কাজী সালাউদ্দিন। সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুস সালাম মুর্শেদী। গতকাল শনিবার দুপুর ২টা থেকে হোটেল সোনারগাঁওয়ে ভোট শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়। ভোট শেষ হওয়ার পর থেকেই অপেক্ষা ছিল রেজাল্টের। সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ফল প্রকাশ শুরু হয়। এতে ৯৪ ভোট পেয়ে টানা চতুর্থ বার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দেশের কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন। তার প্রতিদ্ব›দ্ধী হিসেবে নির্বাচন করা সাবেক তারকা ফুটবলার বাদল রায় পেয়েছেন মাত্র ৪০ ভোট। যদিও তিনি নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার পর সরেযাওয়ার ঘোষণা দেন। তবে নির্বাচনের ঠিক আগের দিন শুক্রবার ফেসুবকে আবার সরব হয়ে কাউন্সিলরদের কাছে ভোট চান।নির্বাহী পরিষদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে জয় পেয়েছেন আব্দুস সালাম মুর্শেদী। তিনি পেয়েছেন ৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ মোহাম্মদ আসলাম পেয়েছেন ৪৪ ভোট। এদিকে সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন খুলনা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি এড. মোঃ সাইফুল ইসলাম। তিনি ৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।সহ-সভাপতির চারটি পদের মধ্যে তিন জন চূড়ান্ত ভাবে নির্বাচিতহয়েছেন। নির্বাচিত তিনজন হলেন ইমরুলহাসান (৮৯ ভোট), কাজী নাবিল আহমেদ (৮১ ভোট) ও আতাউর রহমান মানিক (৭৫ ভোট)। সমান ৬৫ ভোট পেয়েছেন তাবিথ আউয়াল ও মহিউদ্দিন আহমেদ। ফলে, এই দুইজনের ভাগ্য নির্ধারণে আগামী ৩১ অক্টোবর পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিতহবে। সহ-সভাপতি পদে প্রার্থীছিলেন ৮ জন।
নির্বাচিতদের সবাই সালাউদ্দিনের প্যালেল। আর টাই হওয়া মহিউদ্দিন সমন্বয় প্যানেল এবং তাবিথ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন।সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন জাকির হোসেল, আব্দুল ওয়দুদ পিন্টু, বিজন বড়–য়া, আরিফ হোসেন মুন, নুরুল ইসলাম নুরু, মহি উদ্দিন সেলিম, টিপু সুলতান, সতজিৎ দাস রুপু, ইলিয়াস হোসেন, ইমতিয়াজ আলী সবুজ, মাহফুজা আক্তার কিরণ, হারুনুর রশীদ, সাইফুল ইসলাম, আমের খান, ওয়াহিদুর রহমান মিরাজ।এদিন উৎসব মুখর পরিবেশেই অনুষ্ঠিত হয় বাফুফের নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে সকাল থেকেই কাউন্সিলর, প্রার্থী, সাংবাদিকদের পদচারণায় মুখরিত ছিল হোটেল সোনারগাঁও।চার বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয় বাফুফে নির্বাচন। গতকাল শনিবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় বাফুফের বার্ষিক সাধারণসভা (এজিএম)। সেখানে বার্ষিক আয়-ব্যয়ের রিপোর্ট নিয়ে আলোচনাহয়। এরপর শুরু হয় ভোট।বাফুফের ১৩৯ জন ভোটারের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৩৭ জন। অনুপস্থিত দুইজন হলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর কাউন্সিলর তরফদার রুহুল আমিন ও ফরিদপুরের খন্দকার নাজমুল ইসলাম। একজন ভোটার দেশের বাইরে এবং অন্যজন কারাগারে থাকায় উপস্থিত হতে পারেননি।