ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর সদরের কামারগ্রামে বোয়ালমারী সরকারি কলেজ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত গণকবরটি চরম অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে। গণকবরটির পাশেই স্থানীয় এক জামাত নেতার টয়লেট থাকায় হতাশা আর ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রগতিশীল চিন্তার মানুষেরা।
মহান বিজয়ের ৫০ বছর পার হলেও গণকবরটি পড়ে আছে চরম অবহেলায়। গণকবরের চারপাশে নেই কোন প্রাচীর। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং বিজয় দিবসে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে স্মরণ করা হলেও সারা বছরই অবমাননার স্বীকার হচ্ছেন স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদত বরণ করা নাম না জানা অসংখ্য শহীদ। গণকবরটির কোন প্রাচীর না থাকায় সারা বছরই সেখানে গরু-ছাগলের অবাধ বিচরণ হয়। শহীদ বেদীসহ পুরো এলাকাটাই নোংরা থাকে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বোয়ালমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক আব্দুর রশীদ বলেন, প্রতি বছর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবস এবং স্বাধীনতা দিবসে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ ওই গণকবরে দীর্ঘদিন ধরে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন। গণকবরের পাশে জামাত নেতার টয়লেট করা মোটেই সমীচীন হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা এর প্রতিকার চাই।
উপজেলার প্রবীন সাংবাদিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কাজী হাসান ফিরোজ বলেন, জামাত নেতা গণকবরের পাশে শৌচাগার করে মনে হয় একাত্তরে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিচ্ছে। এটা একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা প্রদর্শন।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমাণ্ডার ঝোটন চন্দ বলেন, গণকবরের বিষয়ে সরকারের একটি পরিকল্পনা রয়েছে। মূল গণকবর চিহ্নিত করে প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে। প্রস্তাবনায় স্মৃতিসৌধসহ নাট্যশালা করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।