একজন আদর্শবান সাংবাদিকের উচিত সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে দাড়ানো এবং তাদের জানমালের হেপাজত করা অথচ মাগুরা মহম্মদপুরে সাংবাদিকতার আড়ালে রমরমা সুদ ব্যবসা করছেন সাংবাদিক নামধারী এক ব্যক্তি উপজেলা সদরের বাজারসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের কাছে উচ্চ সুদে ঋণ দিয়েছেন এমন খবর পাওয়া গেছে, এক হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি প্রতিদিন ২০ টাকা আদায় করেন এক লাখে সুদ হয় দুই হাজার টাকা এক দিন সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে পরদিন তাকে দ্বিগুণ টাকা দিতে হয় এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে তার পরেও সাংবাদিক ও পুলিশের ভয় দেখানো হয়েছে বলে জানা যায়, মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের মৌশা গ্রামের মৃত সাইফুর রহমানের ছেলে রাসেল পারভেজ এবং একটি জাতীয় দৈনিকের উপজেলা প্রতিনিধি তিনি,
ধোয়াইল বাজারের চা বিক্রেতা খবির হোসেন, শিঙ্গাড়া বিক্রেতা রাজিবুল ইসলাম, পান বিক্রেতা হারুন মিয়া জানান, তারা অভাবে পড়ে রাসেলের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন,গত দুই বছরে মূল টাকার তিনগুণ পরিশোধ করলেও এখনও তাদের টাকা দেওয়া অব্যাহত রয়েছে কেননা টাকা নাকি এখনও পরিশোধ হয়নি,
চা বিক্রেতা খিজির মিয়া বলেন, মহম্দপুর প্রেস ক্লাবের সমিতির কথা বলে দুই বছর আগে আমাকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলো প্রতিদিন আমার থেকে সে ৪০০ করে টাকা নিয়েছে এ পর্যন্ত আমি তাকে ৪৮ হাজার টাকা দিয়েছি কিন্তু আসল টাকা এখনও পরিশোধ হয়নি এমনটাই বলছে সে,
বড়রিয়া বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর, ফরিদ মিয়া, সাজ্জাদ মুন্সি, স্বপনদি, হাসান খানসহ কয়েকজন একই অভিযোগ করেন বেথুলিয়া, বালিদিয়া, শিকদারের মোড় বাজারসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের শত শত অসহায় ব্যবসায়ী ও বেকার যুবককে এ রকম সুদে টাকা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে
উপজেলা শহরে এভারেস্ট ফার্মায় কর্মরত বিক্রয় প্রতিনিধি চঞ্চল কুমার অভিযোগ করেন, আমি এক বছর আগে রাসেলের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়েছিলাম ৪১ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়ার পরও সে আমার কাছে আসল টাকা দাবি করে টাকা না দিতে পারায় সে আমার থেকে চেকের পাতা নিয়েছে
স্কয়ার ফার্মার বিক্রয় প্রতিনিধি মোকলেসুর রহমানের অভিযোগ, আমি ওর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে মোট দেড় লাখ টাকা দিয়েছি
এ বিষয়ে রাসেল পারভেজ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মধুমতী বহুমুখী সমবায় সমিতি নামে আমার একটি এনজিও ছিল যা উপজেলা সমবায় অফিস কর্তৃক অনুমোদিত ছিল ওই সমিতির মাধ্যমে আমি আগে গ্রাহকদের ঋণ দিতাম এখন তা বন্ধ করে দিয়েছি
মহম্মদপুর সরকারি আছাদুজ্জামান কলেজের শিক্ষক মো. আছাদুজ্জামান বলেন, রাসেল দীর্ঘদিন ধরে সুদ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, এ নামের কোনো সমিতির অনুমোদন আমরা কখনও দিইনি
মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাস বলেন, রাসেলের সুদ কারবারির বিষয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগ নেই। তবে অফিসারদের এ বিষয়ে সতর্ক করে দিবো।
সূত্র: সমকাল