রাজশাহীতে ভাড়া বাসা থেকে এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু। নিহত ওই ব্যক্তি চাকুরীজীবি ছিলেন। নিহতের লাশ রাজশাহী জেলার তানোর থানা এলাকায় দাফন সম্পূর্ন হয়েছে। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ময়না তদন্ত শেষে সন্ধ্যায় জানাযা শেষে তানোর কৃষ্ণপুরস্থ্য পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মৃত ব্যক্তির নাম ফরহানুল হক শুভ (২৪)।। তিনি তানোর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের আমিনুল হকের ছেলে এবং রাজশাহী বরেন্দ্র কলেজ থেকে ফার্মাসিস কমপ্লিট করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাস্টারোলে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী সালমা (২৩) ইসলামী ব্যাংক মেডিকেলের ইন্টার্নী ডাক্তার। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে রাজশাহী নগরীর আম চত্বর এলাকায় উমরপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। শুক্রবার স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হয়, সেই সূত্র ধরে স্ত্রী সালমা তার বন্ধু ও ব্যবসায়ী পার্টনার তানোর উপজেলার তেলোপাড়া গ্রামের জৈনক ব্যক্তির ছেলে মেহেদীর সাথে বাবার বাড়িতে চলে আসেন।
গত রোববার দিবাগত রাতে শুভ’র বাবা ভাড়া বাসায় গিয়ে দরজা খুলে ছেলের ফাঁস দেয়া অবস্থায় লাশ ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে সোমবার বিকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় পুলিশ তার ঘরে সিগ্যারেটসহ সিরিজ উদ্ধার করেছেন।
এঘটনায় রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে, মৃতের পিতার দাবি পরিকল্পিত ভাবে তার ছেলে হত্যা করা হয়েছে। মৃতের পিতা আমিনুল হক বলেন, আমার ছেলে কোনদিন কখনো সিগারেট বিড়ি খাইনি, কোন ধরনের নেশা করতো না।
এবিষয়ে রাজশাহী মহাগরীর শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহতের বাবা এসে দরজা ভেঙ্গে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। মৃত্যুর বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে আত্নহত্যা মনে হচ্ছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারন যানা যাবে।