রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ৫ নং ইউনিয়নের কুহাড় গ্রামের আজাদ (৪০) ও জাইনুদ্দদিন (৪২) এর নেতৃত্বে পানির উপর বাঁশের রাস্তা তৈরিকরে রাতের আধাঁরে চলছে জুয়ার আসর। তবে এই জুয়ার আসরের বিষয়ে পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করে বলে জানায় স্থানীয়রা। তারা বলেন, আরএমপি বেলপুকুর থানার নিকটবর্তী হওয়ার সুবাদে এই জুয়ারী দলের সদস্যরা সুযোগ বুঝে বেলপুকুর থানা এলাকায় ঢুকে পড়ে। কুহাড় গ্রামের একটি সুত্র জানায় পানির উপর ভ্রাম্যমান একটি জুয়া খেলা ঘর তৈরী করেছে, আর জুয়াড়ীরা সেঘরে প্রবেশ করে তাদের চলাচলের তৈরি করা রাস্তা উঠিয়ে নেন। যেন অন্য কেউ সেখানে প্রবেশ করতে না পারে এবং কোন প্রকার ঝুকি যেন তাদের না থাকে। আর সমতল ভূমিতে জুয়াড়িদের কয়েকজন পাহাদার থাকে। নতুন কোন ব্যক্তি এই দিকে আসার উপক্রম হলেই বাবাদের নিকট চলে যায় মেসেজ। সুত্রটি আরো জানায় এলাকার উঠতি বয়সি যুবকরা এই নেশায় বেশি ঝুকে পড়েছে। অনেকেই অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। তাদের পরিবার গুলোর মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা। এলাকাবাসী আরো জানান, আজাদ দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত মাদকের সাথেও রয়েছে তার বিশেষ সখ্যতা। অভিযোগ রয়েছে জুয়া শেষে ওই ঘরে রাতের বেলায় সুন্দরী মেয়ে নিয়ে ফূর্তি করে, আবার সকালে চলে যায়। এই দুই বাবার জুয়ার ঘরের বিষয়টি এলাকাবাসী জানলেও তাদের ক্ষমতার দাপটে কেউ মুখ খোলার সাহস পান না। এবিষয়ে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে জুয়ার পরিচালক আজাদ বলেন এখানে সময় কাটানোর জন্য কিছু সময় তাশ খেলা হয়। তবে অপর অভিযুক্ত জাইমুদ্দিন বলেন আমি আর খেলিনা।