রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) বহুল আলোচিত পুলিশ পরিদর্শক খাইরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার পুলিশ সদর দফতরের এক আদেশে তাকে বরখাস্ত করে সিলেট রেঞ্জে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জাানিয়েছেন আরএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গত (১৩ই সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠ বায়া পালপাড়া এলাকায় নওহাটা পৌরসভার এক সহকারী প্রকৌশলীকে নারীসহ আটক করেন পুলিশ পরিদর্শক খাইরুল ইসলাম। এরপর ওই প্রকৌশলীর কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন তিনি।
দেনদরবারের এক পর্যায়ে ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা নগদ এবং ৩ লক্ষ টাকা চেক গ্রহণের পর ওই প্রকৌশলীকে ছেড়ে দেন পুলিশ পরিদর্শক খাইরুল। বিষয়টি নিয়ে ওই সময়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ। আরএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার পর্যায়ের এক কর্মকর্তা খাইরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতা পান। এরপর তদন্ত রিপোর্ট পুলিশ সদর দফতরে পাঠানো হলে সোমবার খাইরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ আসে।
পুলিশের একাধীক সূত্র জানায়, খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদকসেবন, মাদক ব্যসায়ীদের সাথে সখ্যতা, মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় ও মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখানো, শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এর আগে ২০১৪ ইং সালে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি (তদন্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২ শিক্ষার্থীকে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগে সে সময় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে রাজশাহীবাসী পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক অভিভাবক পেয়েছেন। যিনি হলেন, রাজশাহী পুলিশ কমিশনার। এমন পুলিশ কমিশনার বা আমাদের অভিভাবক ইতি পূর্বে থাকলে, এমন খায়রুলের সৃষ্টি হতোনা। তবে আমরা আশাবাদী আগামিতে আর কোন খায়রুলের সৃষ্টি হবেনা।