রুহিয়ায় পানি উনয়ন বোর্ডের অধীনে টাঙ্গন নদী ও শুক নদী খনন ব্যাপক অনিয়মর অভিযোগ উঠেছে। ফলে নদী তার জীবন যৌবন হারিয়ে পূর্বের ন্যায় রুপ ধারণ করেছে। যে উদ্দেশ্য নদী খনন করা হয়েছে সে উদ্দেশ্য সফল কাজ তা হয়নি বরং জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে ৩৫ কিলোমিটার নদী খনন কাজের বাজেট বরাদ্দ হয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। অফিস কার্যাদশ অনুযায়ী গত এপ্রিল ২০২০ মাসের মধ্যে কার্যক্রম শেষ করার কথা। সে অনুযায়ী ঠিকাদার কাজ শেষ করলেও কার্যাদশ অনুযায়ী সকল কাজ সম্পন না হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। আসাননগর গ্রামের সালাম, নজিরুল, এরশাদ আলী, বঠিনা গ্রামের সাদেকুল, বেলাল ও খড়িবাড়ী গ্রামের ইসমাইল জানান, নদী খনন কাজ ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। বিশেষ করে খনন কাজ সঠিক ভাব না করায় নদীর দুই পাড়ের ভরাট করা বালু আবারও নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়া নদীর দুই পাড়ে গাছ ও ঘাস লাগানার কথা থাকলও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে নদী তার পূর্বের রুপ ধারণ করেছে। সরজমিনে টাঙ্গন ও শুক নদী এলাকা পরিদর্শন করে তার বাস্তবতা লক্ষ্য করা যায়। এ ব্যাপারে ঠিকাদারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট শাখা কর্মকর্তা রাশেদী মাওলা প্রধান বলন, আমাদর মাত্র ২৪% খনন কার্য সম্পন হয়েছে। কার্যাদশ অনুযায়ী ২২ এপ্রিল ২০২০ইং কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে পারেননি। উক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অতিবৃষ্টির কারণ মন্ত্রনালয় থেকে ৩০ জুন ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়সীমা বর্ধিত কর নিয়েছেন। ঠাকুরগাঁও সদর উপজলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনর কাছ জানত চাইল, তিনি জেলা প্রশাসক মহাদয়ের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম মোবাইলে বলেন, কাজ এখনো শেষ হয়নি। তাছাড়া কাজটি আমি করছি না, কাজটি করছে পানি উনয়ন বার্ড।