মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মার শাখা নদীর চরে অবস্থিত ছিলো পদ্মা রিসোর্ট। পদ্মা শাখা নদী পার হয়ে যেতে হতো ওই রিসোর্টে।নয়নাবিরাম সুন্দর সৌন্দর্য উপভোগ আর বর্ণিল কাঠের কটেজে অবকাশ যাপনের জন্য জেলা তথা বহু দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসতো ব্যাতিক্রমি এই রিসোর্টটিতে। বহুবছর ওই চরের মধ্যেই ছিল কাঠ ও ছন দিয়ে নির্মত কটেজটি। তবে এবার পদ্মার গ্রাসে শেষ রক্ষা হলোনা রিসোর্টটির।১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ভাঙন শুরু হলে এর মধ্যেই রিসোর্টের ৪ একর জমির মধ্যে ২একর জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আর বেশ কিছু কটেজের অংশ নদীতে বিলীন হওয়ার পরপরই পদ্মার ভাঙনের আগেই ১৬টি কটেজের ১২টি কটেজ ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষ ভেঙে মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। বাকিগুলো ভাঙার কাজ চলছে।বিষয়টি নিশ্চিত করে রিসোর্টের পরিচালক সাদেক হোসেন মান্নান জানান,রিসোর্ট সামনের অংশের ২ একর পুরোটাই ভেঙে গেছে। আমাদের প্রচুর ক্ষতি হলো, বেশ কিছু স্থাপনা ভেঙে যাওয়ার পর ক্ষতি কমানোর জন্য কটেজগুলো ভেঙে অন্যত্র ছড়িয়ে নেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। ১৬টির মধ্যে আর ৪টি কটেজ আছে। সেগুলো ভেঙে ফেলা হবে। পরবর্তীতে আবারো রিসোর্ট পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বহুমানুষ রিসোর্টটি চিনে,বেড়াতেও আসে। যদি ভাঙন থেমে যায় তবে আবারো পুনরায় রিসোর্টটি পূণরায় স্থাপনের ইচ্ছা আছে। তবে পুরো জায়গা বিলীন হলে সেটি আর সম্ভব হবে না।এদিকে এবছর পদ্মার ভাঙনের কবলে এরমধ্যে লৌহজং উপজেলার ৮টি গ্রাম সম্পুর্ন নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বেশ কয়েকদিন যাবত আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে পদ্মা রিসোর্টের স্থানসহ উত্তর দিঘলী ও ভোজগাঁও গ্রামে।